ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


দিনাজপুর জেলা পরিষদের কেয়ারটেকারের আত্মহত্যার চেষ্টা


৩১ মার্চ ২০২৩ ০০:০৩

সংগৃহিত

দীর্ঘদিন বকেয়া বেতন না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন দিনাজপুর জেলা পরিষদের কেয়ারটেকার মো. আলী হোসেন (৫০)।  বৃহস্পতিবার দুপুরে সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দিনাজপুর জেলা পরিষদে তিনি আট বছর ধরে চাকরি করে আসছেন। পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী জয়নাল াাবেদীন ও ইঞ্জিনিয়ার মানিকের অনৈতিক কর্মকান্ড ও ঘুষ বাণিজ্যে প্রতিবাদ করায় তাকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়। জেলা পরিষদেও কাছে তার সাড়ে ছয় লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এই টাকা না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রমজানে স্ত্রী সন্তানদের জন্য বাজারও করতে পারছেন না। এ কারণে ক্ষোভে দু:খে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

জানা গেছে, দিনাজপুর জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী জয়নুল আবেদিন, ইঞ্জিনিয়ার মানিক ও সহকারি শিরিন আক্তারের অনিয়ম দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় জেলা পরিষদে অচলাবস্থার সৃষ্ঠি হয়েছে। সেখানকার সাধারণ ঠিকারদাররা বছরের পর বছর ঘুরেও তাদের কাজের বিল পাচ্ছেন না। এসব ঘটনায় জেলা পরিষদের চেয়রম্যানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হচ্ছেনা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ বিল, নৈশ প্রহরী বিল, কমিউনিটি সেন্টারের বিলসহ বিভিন্ন কাজের লাখ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া মসজিদ. মন্দির, গির্জাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজের জনর্য জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দকৃত টাকা দেওয়া হয়না। ওইসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ৪০ ভাগ টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিজেরা ভাগ বোটায়ারা করে থাকে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বর্তমান ইঞ্জিনিয়ার মানিক ডিপ্লোমা পাশ করেও তিনটি পদ দখল করে আছে। এছাড়া জেলা পরিষদের এই বিতর্কিত তিন কর্মকর্তার বাড়ি দিনাজপুর জেলায় হওয়ায় আট বছর ধরে একই স্থানে চাকরি করছেন। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই নানা হয়রানীর শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।