কিশোরগঞ্জে ব্যতিক্রমী ধর্মীয় পাঠশালা

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ৫নং দামিহা ইউনিয়নের নগরকূল গ্রামের শ্রীশ্রী রাধামদন গোপাল জিউর মন্দিরে সুব্রত নিজের প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছেন গীতা সাধনা সংঘ নামে একটি ব্যতিক্রমী পাঠশালা।
এই পাঠশালায় প্রতি শুক্রবার ২ শিফটে পাঠদান দেয়া হয়। সকাল ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত ৪ থেকে ১২ বছরের শিশুদের এবং ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ১৩ থেকে ২২ বছরের কিশের-কিশোরীদের ধর্মীয় ও সামাজিকতা শিক্ষা দেয়া হয়।
গত ০৭ অক্টোম্বর শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের নগরকূল গ্রামের শ্রী সুভাষ চক্রবর্তীর ছেলে বিবিএ অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। এলাকার সনাতন ধর্মের শিশু ও বয়স্কদের ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।
এককভাবে নিজ উদ্যোগে ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা এবং নৈতিকতা শিক্ষার ব্যাপক প্রচার-প্রসার করে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সুব্রত চক্রবর্তী জানান, উপজেলার নগরকূল গ্রামে শ্রীশ্রী রাধামদন গোপাল জিউর মন্দিরে এলাকার আগত ভক্তবৃন্দের নিকট সুব্রত তার পাঠশালার ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করলে সকলেই সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
প্রথমে ১০ জন নিয়ে শুরু হয় পথ চলা। বর্তমানে দুই শিফটে উক্ত পাঠশালায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০ জন। শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন সুব্রত চক্রবর্তী। গীতা সাধনা সংঘ পাঠশালাটি পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে ১৩ জুলাই ২০১৮ খ্রি.।
গীতা সাধনা সংঘ পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, আমাদের অঞ্চলে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানে সংস্কৃত গীতা প্রশিক্ষণ, উপনিষদ, পৌরানিক ও ভাগবতের উপর শিক্ষা দেয়া হয়না।
তিনি আরো বলেন, প্রতি মাসের কোনো এক শুক্রবারে বয়স্কদের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে গোসাই এনে ধর্মীয় আলোচনার পাশাপাশি গীতা পাঠ শেখানো হয়। যদি সরকারি ও বেসরকারিভাবে পৃষ্টপোষকতা পাওয়া যায় তাহলে গীতা সাধনা সংঘটি আরো বহুদূর এগিয়ে যাবে বলে দাবি করেন।
এসএমএন