ঢাকা বুধবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২


মানিকগঞ্জ কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ


৮ জানুয়ারী ২০২৩ ০৩:১৪

প্রতিকি

মানিকগঞ্জ কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর এসব দুর্ণীতির মাধ্যমে নামে বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ হয়েছে।

জানা যায়, কারাগারে বন্দিদের জন্য আতঙ্ক হলো বিকাশ রায়হান। যারা তাকে না দেবে তাদের তিনি নানাভাবে হেনস্থা করে থাকেন এমনকি খাবারও ঠিকমত দেন না। কারাগারে কয়েদীদের থাকা খাওয়ার সুযোগের জন্য টাকা উঠায়। প্রিজনার্স ক্যান্টিনে (পিসি) বন্দিদের নামে পরিবারের লোকজন টাকা জমা করে। এ কার্ডের মাধ্যমে তারা প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র কিনতে পারে। সে পিসির লভ্যাংশ কারা অধিদপ্তরে কমিয়ে দেখায় এবং বাকি টাকা আত্নসাৎ করে। সরকার বন্দিদের জন্য প্রতিদিনের খাদ্যের পরিমান নির্ধারিত করে দিয়েছে কিন্তু বিকাশ রায়হান যথাযথ পরিমান খাবার বন্দিদের না দিয়ে বাকি টাকা আত্নসাৎ করেন। এছাড়াও বন্দিদের সাথে অফিসে দেখা করানোর নামে চলে আরেক বাণিজ্য। টাকার বিনিময়ে তিনি কারাবন্দিদের নিজ অফিস কক্ষে দেখা করার বিশেষ ব্যবস্থা করে দেন।
এদিকে বিভিন্ন বন্দিদের সঙ্গে দেখতে যাওয়া অনেক নারীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি তিনি কয়েকজনকে কুপ্রস্তাবও দিয়েছেন এমন কথাও কারাগারের সবারই জানা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিকাশ রায়হান কারাগারের জেলার থাকায় বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। গাজিপুরে কিনেছেন জমি এছাড়াও রাজধানীর মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকায় কিনেছেন অ্যাপার্টমেন্ট। বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলে সবাইকে চাপে রাখেন তিনি। কারাগারে চাকুরি করার সুবাদে বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যম তিনি এ অর্থ কামিয়েছেন। বিশেষ করে তার স্ত্রী সৈয়দা মরিয়মের ভাই ও মায়ের নামে এ সকল সম্পদ ।

জানা যায়, তার স্ত্রী বিভিন্ন চ্যানেলে সঙ্গিতানুষ্ঠান পরিবেশন করেন। মূলত তাদের দুর্নীতি গোপন করার জন্য এ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসকল অনুষ্ঠানের অতিথিদের সঙ্গে ছবি তুলে তা প্রচারও করেন তারা।

এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমলে জেলার বিকাশ রায়হানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হচ্ছে শীঘ্রই।