ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২


লঞ্চে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে লস্কর গ্রেপ্তার


৫ জানুয়ারী ২০২৩ ০৬:২৯

ঘোষেরহাট থেকে ঢাকা রুটের জাহিদ-৭ লঞ্চের ষ্টাফ কেবিনে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে লঞ্চের লস্কর দুই সন্তানের জনক মফিজ নামের এক যুবককে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে দুলারহাট থানা পুলিশ।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন ঘোষেরহাট লঞ্চ ঘাটে জাহিদ-৭ লঞ্চ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত দুই সন্তানের জনক মফিজ উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে।

ধষর্ণের শিকার দুই কিশোরী পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের বাসিন্দা। একজনের বয়স ১৪ বছর অপরজনের বয়স ১৭ বছর।

এ ঘটনায় বুধবার ১৪ বছরের কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে লঞ্চের লস্কর মফিজকে আসামী করে দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাতে একটি গার্মেন্টসে চাকরীর জন্য ৩০ অক্টোবর ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী জাহিদ-৭ লঞ্চে উঠে ডেকে বিছানা করে বসেন দুই কিশোরী। সন্ধ্যার দিকে জাহিদ-৭ লঞ্চের লস্কর মফিজ বলে ডেকের ও কেবিনের ভাড়া একই। আপনারা কেবিনে থাকতে পারেন। লস্কর মফিজের কথাতে দুই কিশোরী ইঞ্চিন রুমের পাশে লঞ্চ ষ্টাফদের নিচের কেবিনে প্রবেশ করেন। রাত ১২টার দিকে লস্কর মফিজ উপরের কেবিনে প্রবেশ করে কাঠের পাটাতন সরিয়ে নিচের কেবিনে প্রবেশ করে ছুরি হাতে নিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। সকালে ঢাকা সদরঘাটে লঞ্চ পৌছালে দুই কিশোরী লঞ্চ থেকে নেমে ঢাকার নারায়নগঞ্জে একটি মহিলা মেসে উঠেন। ভয়ে দুই কিশোরী কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানাইনি। ঘটনার দুই মাস পর ১৪ বছরের কিশোরীর গর্ভধারনের বিষয়টি ধরা পড়ে। বিষয়টি কিশোরীর বাবাকে জানালে কিশোরীর বাবা ঢাকাতে গিয়ে জাহিদ-৭ লঞ্চে করে আজ বুধবার গ্রামে ফিরেন। ওই লঞ্চে লস্কর মফিজও ছিল। থানায় এসে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত লঞ্চের লস্কর মফিজকে গ্রেপ্তার করেন।

দুলারহাট থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, এঘটনায় ১৪ বছরের কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত লঞ্চের লস্কর মফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।