ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


নওগাঁর নির্বাচনী তথ্য


৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৫৯

নওগাঁ

নওগাঁ জেলায় মোট ৬টি আসন। নওগাঁ-১ আসন ( নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার), নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট), নওগাঁ-৩ (বদলগাছী- মহাদেবপুর), নওগাঁ-৪ (মান্দা), নওগাঁ-৫ (নওগাঁ সদর) ও নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই)।

গত নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী ও প্রতিদ্বন্দ্বী : নওগাঁ-১ আসন ( নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার) এই আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনের ৩ বারের নির্বাচিত বিএনপির সাংসদ ডাঃ সালেক চৌধুরিকে ৬৬ হাজার ২৬২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আ’লীগের বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আ’লীগের বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার পেয়েছেন-১লাখ ৭৭ হাজার ২৫১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডাঃ ছালৈক চৌধুরি পেয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৮৯ ভোট। ২০০১ সালের নির্বাচনে ১ লাখ ২৯ হাজার ৮০৯ ভোট পেয়ে বিএনপির ডাঃ ছালেক চৌধুরি নির্বাচিত হন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আৎলীগের বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার পেয়েছেন ১লাখ ১ হাজার ৯৫ ভোট। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার।

নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির ৩ বারের সাংসদ সামসুজ্জোহা খানকে ৫২ হাজার ২৯০ ভোটের ব্রবধানে হারিয়ে আৎলীগের শহিদুজ্জামান সরকার নির্বাচিত হন। আ’লীগের শহিদুজ্জামান সরকার পেয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৫ ভোট।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সামসুজ্জোহা খান পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৪০৫ ভোট। ২০০১ সালের নির্বাচনে ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে বিএনপির সামসুজ্জোহা খান নির্বাচিত হন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আৎলীগের শহিদুজ্জামান সরকার পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৩৭৭ ভোট। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন বাবু শহিদুজ্জামান সরকার ।

নওগাঁ-৩ (বদলগাছী- মহাদেবপুর) আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে সাবেক ডেপুটি স্পীকার আখতার হামিদ সিদ্দিকীকে ৬০ হাজার ৮২২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মানবাধিকার নেতা ড. আকরাম হোসেন চৌধুরি নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ড. আকরাম হোসেন চৌধুরি পান ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আখতার হামিদ সিদ্দিকী পান ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৪০ ভোট। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে আ’লীগের ড. আকরাম হোসেন চৌধুরিকে হারিয়ে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদার নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ছলিমউদ্দিন তরফদার পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৪০ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ৪৬ হাজার ৮৬৩ ভোট। ২০০১ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির আখতার হামিদ সিদ্দিকী ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড, আকরাম হোসেন চৌধুরি পান ১ লাখ ১০ হাজার ৯২৭ ভোট।

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ২০০৮ বিএপির ৩ বারের নির্বাচিত সাংসদ শামসুল আলম প্রামানিককে ২২ হাজার ৬৪৬ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামীলীগের ইমাজউদ্দিন প্রামানিক নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের ইমাজউদ্দিন প্রামানিক পেয়েছেন-১লাখ ১৫ হাজার ৫৭৫ ভোট।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শামসুল আলম প্রামানিক পেয়েছেন ৯২ হাজার ৯২৯ ভোট। ২০০১ সালের নির্বাচনে ১ লাখ ১ হাজার ২৬২ ভোট পেয়ে বিএনপির শামসুল আলম প্রামানিক নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ইমাজউদ্দিন প্রামানিক পেয়েছেন ৮০ হাজার ৭৯৬ ভোট। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইমাজউদ্দিন প্রামানিক ৬০ হাজার ৩৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেপির পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৬৫ ভোট।

নওগাঁ-৫ (নওগাঁ সদর) আসনে ২০১৩ সালের মার্চে নওগাঁর বর্ষীয়ান নেতা সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী হেভিওয়েট আব্দুল জলিল এম,পি’র মৃত্যুর পর নওগাঁয় দলের হাল ধরেন দীর্ঘদিনের জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মালেক। উপনির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে আব্দুল মালেক ৪৪ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক পান ৩৭ হাজার ৫৩২ ভোট। এই নির্বাচনে ভোটের ব্যবধান ছিলো মাত্র ৬ হাজার ৫৪৮ ভোট। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আব্দুল জলিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল লতিফ খান পান ৯০ হাজার ৬ ৬২ ভোট। ২০০১ সালে এই আসনে আ’লীগের আব্দুল জলিল ৯৬ হাজার ৩৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলহাজ্জ্ব সামসুদ্দিন আহমেদ পান ৯৪ হাজার ২৩৫ ভোট।

নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই) আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ঢাকা মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক ইসরাফিল আলম বিএনপির আনোয়ার হোসেন বুলুকে ৪৩ হাজার ৩৩৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। নির্বাচনে আ’লীগের ইসরাফিল আলম পেয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আনোয়ার হোসেন বুলু পান ৮৭ হাজার ৩১৯ ভোট। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির আলমগীর কবির ১ লাখ ২ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ’লীগের ইসরাফিল আলম পান ৮২ হাজার ২১৮ ভোট। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন আ’লীগের ইসরাফিল আলম।

হালনাগাদ ভোটার ও নারী-পুরুষের সংখ্যা:

নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই) আসনে রানীনগর-আত্রাই এই দুই উপজেলা মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৮৮৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৬ ও মহিলা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৮ জন।

নওগাঁ -৫ (সদর) আসনটি ১২টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৭৩০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৯০ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৪০ জন। পৌর এলাকার ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার ৮০৩ জন। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ২৪৬ জন পুরুষ এবং ৬৫ হাজার ৫৫৬ জন মহিলা ভোটার।

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনটি ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৯ হাজার
০৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৩ ও মহিলা ভোটার ১লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৫ জন।

নওগাঁ-৩ (বদলগাছি-মহাদেবপুর) আসনে মোট ভোটার ৩লাখ ৮০ হাজার ৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ -১ লাখ ৮৮ হাজার ৭০৮ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৯১ হাজার ৩৩০ জন।

নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ভোটারের সংখ্যা মোট ৩লাখ ২৪ হাজার ৪৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬২ হাজার ০৯৭ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৬২ হাজার ৪০২ জন।

নওগাঁ-১ ( পোরশা- সাপাহার- নিয়ামতপুর) আসনে সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৫ জন এবং মহিলা ২ লাখ ২ হাজার ৬০৮ জন।

একেএ