ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


স্ত্রী বাবার বাড়ি, নিজ ঘরে স্বামীর গলাকাটা লাশ


২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৫৬

পাবনার সাঁথিয়ায় রবিউল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের তেঁথুলিয়া কারিগর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রবিউল তেঁথুলিয়া কারিগরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত বলে স্বামীর বাড়ি না থেকে বাবার বাড়িতে থাকেন। রবিউল মাদকাসক্ত ছিলেন। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রবিউলের বড় ভাই রমজান আলীকে আটক করেছে।

আটক রমজানের স্ত্রী কুলছুম বেগম জানান, রবিউলের স্ত্রী বাড়ি না থাকায় তারাই তাকে খাবার দিতেন। অন্যান্য দিনের মত শুক্রবার রাতে তাকে খাবার দেয়ার জন্য ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু কোনো সাড়া না পাওয়ায় রবিউলের ভাতিজা ঘরে ঢুকে দেখেন বিছানায় রবিউলের শরীর কাঁথা দিয়ে ঢাকা। কাঁথা সরাতেই তাকে গলাকাটা অবস্থায় দেখা যায়।

সাঁথিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) আবুল কালাম আজাদ জানান, রবিউলের ঘরে ঢুকতে হলে তার ভাই রমজান আলীর দোকানের পাশ দিয়ে যেতে হয়। তাই বাইরে থেকে সন্ধ্যা রাতে খুন করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাওয়াটা কষ্টকর।

তিনি জানান, রবিউলকে শুধু জবাই করা হয়নি, মৃত্যু নিশ্চিত করতে পায়ের রগও কেটে দেয়া হয়েছে।

কুলছুম বেগম আরও জানান, তাদের বাড়ির চারদিকে তাঁত চলে ও দোকানে উচ্চস্বরে গান বাজানো হয়। এতে অনেক সময় অন্য কিছু শোনা যায় না। সপ্তাহ দুয়েক আগে প্রতিবেশী একজনের বাড়ি চুরি হয়। সে সময় তারা মাদকাসক্ত রবিউলকে দোষারোপ করেন। তাকে এজন্য মারধর করে একটি দাঁতও ভেঙে দেয়া হয়।

এসআই আবুল কালাম আজাদ আরও জানান, রবিউলের স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত বলে তারা শুনেছেন। তার দাঁত ভাঙার আলামতটিও তারা দেখতে পেয়ছেন। তবে রবিউল ওই সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও বলেছিলেন পড়ে গিয়ে তার তাঁত ভেঙেছে।

সাঁথিয়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, এ হত্যাকাণ্ডটি রহস্যজনক। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শুক্রবার রাতেই থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য নিহতের বড় ভাই রমজান আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

এদিকে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্তও এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে ওসি (তদন্ত) জানান।