ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


রাজশাহীতে খাদ্য গুদামের ধান আত্মসাৎ,নিয়ন্ত্রকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা


২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:২২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট: রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ সরকারি খাদ্য গুদামের আলোচিত সেই ৬০ মেট্টিকটন ধান আত্মসাতের ঘটনায় তানোর উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রকসহ চারজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

জানা গেছে, চলতি মাসের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলার দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক কামিয়াব আবতাহি উন নবী বাদি হয়ে রাজশাহী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলাটি দায়ের করেছেন। রাজশাহী জেলা দূর্নীতি দমন কমিশনের ১২০৩/১(৪) নম্বর স্বাক্ষরিত একটি বার্তায় এ মামলার বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরে অবহিত করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, তানোর উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা আলাওয়াল কবির, কামারগাঁ খাদ্যগুদামের ওই সময়ের উপ-খাদ্য পরিদর্শক (ওসিএলএসডি) নয়ন কুমার, সহকারী উপ খাদ্য-পরিদর্শক আজিজুর রহমান ও খাদ্যগুদামের নিরাপত্তাকর্মী কুরবান আলী।

এর আগে গত ২৫মার্চ রাজশাহী জেলা খাদ্য কর্তকর্তা নাজমুল হক বাদি হয়ে তানোর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কামারগাঁ খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডিসহ ৪জনের বিরুদ্ধে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তানোর থানা পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

রাজশাহী দূর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলা সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে অনিয়ম দুর্নীতি করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও ওএলএসডিসহ ৪জন পরশ পর যোগ সাজসে কামারগাঁ খাদ্যগুদামের সরকারী ৬০ মেট্টিক টন ধান, (যার সরকারি মূল্য ১৫ লাখ ৬০ হাজার ২৬০ টাকা) ও খালি বস্তা ৩ হাজার ৩শ’ ৪৬টি, (যার সরকারি মূল্য ২লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা) মোট ১৮লাখ, ২৭হাজার, ৯৪০টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমানের পর মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ মার্চ কামারগাঁ খাদ্যগুদামের (ওসিএলএসডি) নয়ন কুমার মজুদকৃত গুদামের ধানের মধ্যে ৬০ মেট্রিক টন ধান অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তৎকালিন রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হকের নির্দেশে রাজশাহী জেলা খাদ্য কর্মকর্তা নাজমুল হক ও জেলা কারিগরি খাদ্যপরির্দক সিহাবুল ইসলাম কামারগাঁ খাদ্যগুদামে পরিদর্শন করে ধান আত্মসাতের প্রমাণ পান।
ওইদিনই ধান আত্মসাতের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হলে জেলা প্রশাসক তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতোকে ঘটনাস্থলে গিয়ে কামারগাঁ খাদ্যগুদাম সিলগালা করার নির্দেশ দিলে কামারগাঁ খাদ্যগুদাম সিলগালা করে দেয়া হয়।
এঘটনার পর কামাগাঁ খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি নয়ন কুমারকে অন্যত্র বদলি করে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ধান ও খালি বস্তা আত্মসাতের দায়ে তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কামারগাঁ খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডিসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন আরো কিছু তদন্ত বাকি আছে, এরপর তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখিন করা হবে।