টঙ্গীতে ফ্যান কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ২

গাজীপুরের টঙ্গীতে ন্যাশনাল ফ্যান কারখানার হিট চেম্বারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর বিশফিট শিল্পনগরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী বিসিক এলাকায় ন্যাশনাল ফ্যান ফ্যাক্টরির দোতলায় স্থাপিত হিট চেম্বারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুন ধরে যায়। এ সময় কারখানার ২৫ শ্রমিক দগ্ধ ও আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত অপর দগ্ধ আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করেন। এ ছাড়া অন্যদের টঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস টঙ্গীর দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।
টঙ্গী সরকারি হাসাপাতালের চিকিৎসক মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ফ্যান কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অনেককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় আটজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ন্যাশনাল ফ্যান কারখানার কর্মচারী আবদুল রহীম জানান, প্রতিদিনের মতো আজ কারখানায় সকালে এসে কাজ শুরু করি। হঠাৎ বেলা পৌনে ১২টার দিকে কারখানায় ফ্যানের হিট চেম্বার বিস্ফোরিত হয়। এখন পর্যন্ত দুই শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দগ্ধ হয়েছেন আরও ২০ শ্রমিক। তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২০১৬ সালে ১০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় টাম্পাকো ফয়লস লিমিটেড নামের একটি প্যাকেজিং কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ তলা ভবনটি পুরোপুরি ধসে পড়ে। বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ও চাপা পড়ে অন্তত ২৪ জন নিহত হয় এবং আহত হয় অর্ধশতাধিক মানুষ।
আরকেএইচ