ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সড়ক বালু মহলের দখলে, জনদূর্ভোগ চরমে


১৫ জুলাই ২০২০ ১৮:১৩

ছবি সংগৃহীত

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় অবস্থিত ক্যাডেট কলেজের সড়কটি এখন বালুবাহী ট্রাক ও বালুমহলের দখলে। দেশের সুনাধন্য এ ক্যাডেট কলেজ কেন্দ্রিক সড়কটি বালুমহলকারীদের দখলে থাকায় প্রতিদিন শতাধিক লড়ি ও ট্রাক বালু নিয়ে অবাধে চলাচল করছে ওই সড়কে। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ঘটছে নানা রকম ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
বালুবাহী ট্রাক চলাচলে এ সড়কটিতে খরা মৌসুমে সৃষ্ট তীব্র ধুলা ও বালুকনায় চলাচল যেমন কঠিন হয়ে পড়ে ঠিক তেমনি বর্ষাকালে ক্যাডেট কলেজের সড়কের মুল প্রবেশদ্বার থেকে শুরু হয় জনদূর্ভোগ ও অসহনীয় ভোগান্তি।
উপজেলার সারদায় রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সড়কটি পদ্মানদীর তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় ৫-৬ টি পয়েন্টে বালু উত্তোলনকারী বালুমহলের লড়ি ও ট্রাকের অবাধে চলাচলে ভেঙে বেহালদশা সড়কটির। প্রতিনিয়ত এসব ভারী যানবাহন চলাচলে সড়কগুলো ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও এসব বন্ধে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ,প্রভাবশালীসহ রাজনৈতিক দাপটের ব্যক্তিরা এসব বালুমহলের সঙ্গে জড়িত থাকায় এমন জনদুর্ভোগ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বালুমহলের লড়ি ও ট্রাক অবাধে চলাচল করছে সড়ক ও মহাসড়কে। যার কোনো নিয়মনীতিই নেই।
সারদা ক্যাডেট কলেজে কর্মরত একজন শিক্ষক জানান, আমরা দূর থেকে চাকরি করতে এসেছি । রাস্তায় বের হলে খরা মৌসুমে অসহ্য ধুলায় জীবন অতিষ্ঠ, আবার বর্ষা মৌসুমে জনদুর্ভোগ, ভোগান্তি চরমে। বালুমহল গুলো স্থানীয় প্রভাবশালী বলে কিছুই বলতে পারি না। যা সরেজমিন কেউ না দেখলে বোঝা কঠিন।
স্থানীয় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, করোনা প্রাতুর্ভাবের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রযেছে তা না হলে ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধা হয় সড়কটিতে চলতে । কারণ প্রতিদিন তাদের ওই পথে চলতে হয়। রাস্তায় ছাত্রছাত্রীদের নাকে-মুখে ধুলা ঢুকে কাশিসহ বিভিন্ন রোগবালাই স্বিকার হতে হয়।
তামিম নামের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী বলেন, বালু বহনকারী ট্রাকের বেপরোয়া গতিতে চলাচল ও রাস্তার ধুলায় অনেক সহপাঠীরা স্কুলে আসতে ভয় পায় ।
স্থানীয় ভ্যান ও সিএনজি চালক রসিদ, ছালাম, আবদুল্লাহ, জহুরুলসহ অনেকেই জানান, বালু বহনকারী লড়ি ও ট্রাক ড্রাইভারদের কাছে আমরা জিম্মি। প্রভাবশালীদের কাজ করছে বলে ড্রাইভাররা তোয়াক্কাই করে না। তাদের কাছে আমরা অসহায়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।