ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


দৌলতপুরে সড়ক সংস্কারে অনিয়মের প্রতিবাদী নেতা মোতাসিম বিল্লাহ লাঞ্চিত ঘটনার বিচার দাবী


১৪ জুলাই ২০২০ ১৬:৫১

ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সড়ক সংস্কারে অনিয়মের প্রতিবাদী নেতা সমাজ কল্যাণ সম্পাদক,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাচ্ছিম বিল্লাহ লাঞ্চিত ঘটনার বিচার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জনগণের কাজে যারা আত্ব নিয়োগ করে, তারাইতো প্রকৃত দেশ প্রেমিক, একজন দেশ প্রেমিক দেশ গড়ার লক্ষে অনিয়ম দূর্নীতি রুখে দেবে, মানুষের জীবন চলার সকল দিকে ও সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করবেন এটাই একজন প্রকৃত রাজনীতি বিদ ও দেশ প্রেমিকের কাজ। এলাকার নিরীহ মানুষ অনিয়মের প্রতিবাদ করেছে, কিন্তু তাদের কথা কে শোনে, প্রতিবাদ স্তব্ধ করার জন্য যা করার দরকার প্রভাব শালীরা তাই করেছে। এলাকার প্রতিবাদী ১৩ জনের নামে পুলিশকে প্রভাবিত করে চাঁদা বাঁজির মিথ্যা মামলা করেছে, এ মামলা টিটু এন্টারপ্রাইজ চুয়াডাঙ্গা থেকে এসে করার সাহস পেতনা, যদি ছবিতে দেখা এলাকার নামী-দামী রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা না থাকতো, মানুষ তাদের ধিক্কার জানায়। এলাকাবাসী অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মোতাসিম বিল্লাকে লাঞ্চিত ঘটনার বিচার দাবী করেছেন।

এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের স্বরণ করিয়ে দিতে চান, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যায় কারী নিজের দলের হলেও কাহাকেও তিনি ছাড়দেননা, মোতাসিম বিল্লার বিরুধে যারা অবস্থান নিয়েছেন তারা দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, এখন যতই ভাল মানুষ সাজতে চাননা কেন জনগণ আপনাদের নীতি ও উদ্দেশ্য জেনে গেছে। এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগকারী মোতাসিম বিল্লাকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টিটু এন্টারপ্রাইজের ক্যাডারবাহিনী ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছে। এ দৃশ্য অনেকে মোবাইলে ধারল করেছে। তিনি এলাকাবাসীর পক্ষে রাস্তাটির সংস্কার কাজে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করে ছিলেন, যার কারনে তদন্ত কার্যক্রম দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তদন্ত ঠিকাদারের পক্ষে নিতে দৌলতপুর উপজলোর বেশ কিছু ঠিকাদার যারা মঞ্চে বড় বড় কথা বলে, অথচ স্কুল ভবন, রাস্তা, কালভার্ট সহ নানা সরকারী কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতি করে রাতা-রাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। ১৫ বছর আগে তাদের কি ছিল ? এখন তাদের সম্পদের যে পাহাড় গড়েছেন তার উৎস তদন্ত করলে পাওয়া যাবে। মোতাসিম বিল্লাহ নিজে প্রেস ব্রিফিং এ বলেছেন এলাকার ২০/২৫ জন ক্যাডার বাহিনীকে দিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টিটু এন্টারপ্রাইজ এর পক্ষ নিয়ে আমাকে মারপিট ও শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করেছে।

মোতাসিম বিল্লাহ ন্যায় বিচার না পেলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধনের মত কর্মসূচি গ্রহণ করে, প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করাবেন এলাকাবাসী।

জানাগেছে উপজেলার মথুরাপুর জিসি থেকে জুনিয়াদহ জিসির ১৭৬২ মিটার পাকা সড়ক সংস্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে গত ২০ই জুন বভিন্নি জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। সে সময় রাস্তাটি প্রচন্ড বৃষ্টিতে কাঁদা ও পানির মধ্যে তড়ি ঘড়ি করে নিম্নমানের ইট ও বিটুমিন দিয়ে কাজ শেষ করতে থাকলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর মিথ্যা মামলা করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টিটু এন্টারপ্রাইজের কর্নধার মোঃ ফিরোজ আহম্মদে।

জানাযায়, উপজলোর মথুরাপুর জিসি থেকে জুনিয়াদহ জিসির ১৭৬২ মিটার পাকা সড়ক মেরামত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে শুরু হয়। সংস্কারের কাজটি পান টিটু এন্টার প্রাইজ নামক চুয়াডাঙ্গার এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। উক্ত সড়ক সংস্কারের ব্যায় ধরা হয় ৬৯,২৭,২৭৬ টাকা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২৯/১২/২০১৯ ইং তারিখে কাজ শুরু করে, শেষকরার কথাছিল গত ১২/০৩/২০২০ তারিখ। কিন্তু সেই সময় পার হলেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে নাসির নামে এক ঠিকাদারের কাছে কাজ বিক্রি করে দেন প্রতিষ্ঠানটি। কিছুদিন পরে কাজ শুরু হলেও অভিযোগ উঠে অনিয়মের।

এরই মধ্যে বৃষ্টিতে কাঁদা ও পানির মধ্যে তড়ি ঘড়ি করে নিম্নমানের ইট ও বিটুমিন দিয়ে কাজ শেষ করা হয়। যার ফলে হাত দিলেই সড়কের কারপেটিং উঠে আসে হাতের সাথে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে। সড়কের অবস্থা দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং রাস্তা ভালোভাবে সংস্কারের জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। সে সময় এলাকাবাসীর ক্ষোভ ও সড়কের অবস্থা দেখতে গিয়ে তোপের মুখেও পড়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী বিভাগ।

রবিবার ১২ই জুলাই ২০২০ তারিখে এলাবাসীর অভিযোগে, সড়ক সংস্কারে অনিয়ম হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করতে এসে তদন্ত কাজে বাঁধার স্বীকার হয়েছে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপুল বনিক (এল.জি.ই.ডি সদর দপ্তর)। তদন্ত চলাকালীন সময় তিনি বলেন, এই রাস্তাটির অনিয়মের অভিযোগে আমি তদন্তে এসেছি। রাস্তাটি ঠিকভাবে হয়েছে কিনা সেটা আমরা দেখছি। দেখার পর যদি রাস্তাটির সংস্কারে কোন অনিয়ম হয়। তাহলে তদন্ত করে যাতে করে সঠিক বিচার হয় সেই ব্যবস্থা সদর দপ্তর করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।