ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


কলাপাড়ার লঞ্চঘাটটি যেন মরন ফাঁদ


১ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৩৪

 পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় লঞ্চঘাটে পল্টুন আছে, নেই বেইলি ব্রিজ। বহুদিন ধরে অকেজো অবস্থায় রয়েছে পৌরসভার একমাত্র লঞ্চ ঘাটের বেইলি ব্রীজটি।

দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা থাকায় যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। বেইলী ব্রীজটির অনেক জায়গায় নেই কাঠের স্লিপার। যা আছে তাও অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। পাশেই পড়ে থাকা পুরনো পল্টুনের উপর কাঠের একটি তক্তা দিয়ে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। শ্রমিকরাও ঝুঁকি নিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া করছে।

সরে জমিন গিয়ে দেখা গেছে, কলাপাড়ার লঞ্চঘাটটি যেন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। যাত্রীরাও এ ঘাট থেকে লঞ্চে ওঠা নামা করছে। ঘাটের বেইলি ব্রিজটি এখন বেহাল দশা হয়ে পড়েছে।

এছাড়া ঘাটটির আশেপাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা অর্বজনা। জোয়ারের সময় এসব আর্বজনা পানিতে ভাসে আর ভাটায় যায় আটকে। ওই সব ময়লার দূষণে আশেপাশের পরিবেশ হয়ে উঠেছে বিষাক্ত।

লঞ্চঘাট কেন্দ্রিক পণ্য পরিবহনকারী শ্রমিক সোবাহান জানায়, দীর্ঘদিন পল্টুনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে থাকার পর নতুন পল্টুন স্থাপিত হলেওবেইলি ব্রিজটি সংস্কার করা হয়নি। যার ফলে, প্রতিদিন কমবেশি যাত্রী আহত হয়, সেই সাথে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ থেকে পণ্য খালস করতে হয়। এ ঝুকি পূর্ণ পথে শ্রমিকরা ভারী মালামাল মাথায় করে বহন করে।

কলাপাড়া এক্সপ্রেস কার্গো সার্ভিসের সত্বাধিকারী সাইদুর রহমান জানান, তাদের কার্গো সার্ভিসের মাধ্যমে দখিনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র কলাপাড়ার সর্বাধিক মালামাল পরিবহণ হয়ে থাকে। কার্গো ঘাটে আসে দিনরাত কাজ করতে হয় শ্রমিকদের। দিনে সতর্ক হয়ে শ্রমিকরা কাজ করলেও রাতে চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে।

ঘাটের ইজরাদার শামীম জানান, লঞ্চ, কার্গো ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নৌযান লঞ্চঘাটে নোঙর করে। সবাই ঝুকি নিয়ে ওঠা নামা করছে।

পটুয়াখালী অভ্যান্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত বেইলী ব্রিজের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে।

এসএমএন