দুই জেলায় গোলাগুলিতে নিহত ৫

বান্দরবন ও কক্সবাজাবে গোলাগুলিতে ২ মাদক ব্যবসায়ীসহ ৩ ডাকাত নিহত হয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বান্দরবন: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে ৩ ডাকাত নিহত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার বাইশারী এলাকার ৩নং রাবার বাগানের পাশ থেকে গুলিবিদ্ধ মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ভোর ৫টার দিকে ৩নং রাবার বাগান সংলগ্ন বাড়িতে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে বাগান শ্রমিকরা সেখানে ৩ ডাকাতের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আলমগীর জানান, ডাকাতি শেষে মালামালের ভাগভাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ডাকাতরা। পরে ‘গোলাগুলি’ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার: কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ২ ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোরে জেলার টেকনাফ ও মহেশখালীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ইমরান হোসেন প্রকাশ ওরফে পুতিয়া মিস্ত্রি ও মাহমুদুল করিম।
টেকনাফ থানার ওসি রঞ্জিত বড়ুয়া জানান, ভোরে টেকনাফের হ্নীলায় মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মাহমুদুলের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্য ঘোষণা
করে।
পুলিশ জানায়, নিহত ইমরান হোসেন প্রকাশ ওরফে পুতিয়া মিস্ত্রি শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত ছয়টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় এক এএসআইসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৭ হাজার পিস ইয়াবা, একটি বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ভোরে উপজেলার ছোট মহেশখালী এলাকায় সন্ত্রাসীদের একটি আস্তানায় পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মাহমুদুল করিম প্রকাশ ওরফে মাহাত আলম নিহত হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮টি বন্দুক, গুলি ও ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
এসএমএন