৩ ঘণ্টায় ২৮ বসত-বাড়ি বিলীন

যমুনা নদীতে পানি কমায় বৃহস্পতিবার রাতে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ২৮টি বসত-বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া প্রায় সাড়ে ৪০০ মিটার এলাকায় জুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙনরোধে পাউবো অবহেলার কারণে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে শতকোটি টাকা ব্যায়ে শহর রক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
চৌহালী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধের দক্ষিণ থেকে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পর্যন্ত তীব্র নদী ভাঙন সম্ভবনা রয়েছে।
নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে পশ্চিম জোতপড়া গ্রামের আবুল কাশেম মন্ডল, আব্দুর রহমান মোল্লা, মজিবর রহমান, ঠান্ডু মন্ডল, আব্দুল কাইয়ুম, লুৎফর রহমান, আকবার আলী ও আব্দুল মতিন মন্ডলসহ ওই গ্রামের অন্তত ২৮টি বসতভিটা। এসব বাড়ি ঘরের অধিকাংশ আসবাবপত্র ও গবাদি পশুসহ প্রয়োজনীয় মালামাল নদী গর্ভে চলে গেছে।
অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিলেও ভাঙন কবলিত এলাকায় পাউবো কর্মকর্তাদের দেখা যায়নি । ক্ষতিগ্রস্থরা পায়নি কোন ত্রাণ সহায়তা এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হানিফ মোল্লা।
এবিষয়ে চৌহালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বাবুল আক্তার বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও বালুর পয়েন্ট করার কারণে ঝর্ণার সৃষ্টি হয়ে এলাকাটি নদীতে বিলীন হচ্ছে।
দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
এসএমএন