শ্যালিকার গর্ভে দুই দুলাভাইয়ের বাচ্চা!

ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় দুই বোন জামাইয়ের ধর্ষণে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে এক শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার সাত নম্বর চর নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের সব্জিপাড়া এলাকায়। ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শেণিতে লেখাপড়া করে।
ভুক্তভোগি জানায়, ধর্ষক দুজনের মধ্যে একজন আপন খালাত বোনের জামাই রাব্বি (১৯)। সে ওই এলাকার বাসিন্দা। আরেকজন আপন বোন জামাই রিপন (২০) মিয়া। সে পাশের ইউনিয়নের চর ঝাউগাড়া গ্রামের কালীবাড়ি এলাকার মৃত সালাম মিয়ার ছেলে।
ওই শিক্ষার্থী আরও জানায়, রাব্বি আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এর এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে একাধিক বার আমার সাথে সে দৈহিক সর্ম্পকে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে রিপন আমার দুলাভাইর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে। পরে বোন জামাই রিপন আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার সাথে একাধিক বার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।
রাব্বি প্রায় ৫ মাস আগে আমাকে না জানিয়ে আমার আপন খালাতো বোনকে বিয়ে করে। এ কথা বলেই মেয়েটি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
ভুক্তভোগি মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে মাত্র ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। মিথ্যা আশ্বাসে রাব্বি ও আমার মেয়ের জামাই মিলে তার ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে। আমি এর জন্য আইনের আশ্রয় নেব।’
রিপনের স্ত্রী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এ কথা শোনার পরেই আমি বাবার বাড়িতে চলে আসি। আমিও আমার স্বামীর উপযুক্ত বিচার চাই।’
এ বিষয়ে রিপনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা যায়নি।
রাব্বির মা মদিনা বেগম বলেন, ‘রাব্বিকে প্রায় ৫ মাস আগে বিয়ে করিয়েছি। আমার ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ওই মেয়ে।’
কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, এখনো এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।