ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


শীতে উত্তরের গ্রামীণ জনজীবনে দুর্ভোগ


৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:৪৩

এবারের শীতের তীব্রতা একটু আগেই টের পাচ্ছে উত্তরবঙ্গের মানুষ। রাত আর দিনের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করলেও সূর্যের তাপ বিকিরণ ক্ষমতা কমতে থাকায় ডিসেম্বরের শেষে জেঁকে বসতে পারে শীত। হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় শীতপ্রবণ অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবন এক দুর্বিষহ অভিজ্ঞতায় ভরপুর। তবে সরকারের স্বাস্থ্য ও জনপ্রশাসন এবার জানালো নানা আগাম প্রস্তুতির কথা।

দিনের বেলা একটু সূর্যের আলোতে স্বস্তি মিললেও সন্ধ্যা ঘনাতেই কষ্ট শুরু। মাঝে রাতের কয়েকটা ঘণ্টা শীত এখনই দুর্ভোগ এনেছে উত্তরের গ্রামীণ জনজীবনে। এদিকে সচ্ছল মানুষগুলো নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী শীত মোকাবেলা করে। তবে সামর্থ্যহীনদের দুর্ভোগ বলার বাইরেই থেকে যায়। সকাল কিংবা সন্ধ্যে থেকেই চলে খড়কুটোর আর কাঠ পুড়িয়ে আগুন ছেক দেয়া। এলাকাবাসীরা জানায়, শীতের কারণে কাজ করা যায় না। এ কারণে কোনও কাজ করতে পারছেন না তারা। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শীতপ্রবণ এ অঞ্চলে দিনের বেলা এখনও কিছুটা তাপ বিকিরণ করছে সূর্য। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সক্রিয় হবে মৌসুমী বায়ু। এখন তাপমাত্রা ১০/১১ সেলসিয়াসে ওঠানামা করলেও তখন অনেক নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ। রংপুর আবহাওয়া অফিসার মোস্তাফিজার রহমান বলেন, শীতের কারণে বাচ্চারা যেন অসুস্থ না হয়। সেটা দেখতে হবে। আর বয়স্কদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। তবে এবার আগাম প্রস্তুতির কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে যে শীতের কাপড় পেয়েছি। সরকারের কাছ থেকে যেগুলো পেয়েছি সেগুলো আমরা বিতরণ করব। শীত থেকে বাঁচতে প্রতি বছর খড়কুটোর আগুনে পুড়ে মরে অনেক মানুষ, কেউ দগ্ধ শরীরের অভিশাপ নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে বাঁচে।