ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


এনজিও নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে কোর্টে মামলা


১৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৬

ছবি সংগৃহীত

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের অবস্থিত শতফুল বাংলাদেশ এনজিও‘র পরিচালক ও নওনগর গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী মোল্লার ছেলে নাজিমুদ্দিন মোল্লা(৪৮) বিরুদ্ধে একই এলাকার জনৈক ব্যাক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গত ১৫ অক্টোবর/২০১৯ইং তারিখে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ রাজশাহী কোর্টে নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।

মামলা ও সরজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নে শতফুল বাংলাদেশ নামে একটি স্থানীয় এনজিও রয়েছে। সেই এনজিও‘র তত্তাবধানে শিশু স্কুল পরিচালিত হয়ে থাকে। আর সেই শিশুস্কুলে গত জানুয়ারী/২০১৯ইং সালে একই এলাকার তশোপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যাক্তির শিশুকন্যা (৭) কে ভর্তি করায়। কিন্তু ভোক্তভোগির অভিযোগ তার শিশু কন্যাকে লম্পট নাজিমুদ্দিনের স্কুলে ভর্তির পর থেকে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসার ফলে কু-দৃষ্টি পড়ে এনজিও পরিচালক নাজিমুদ্দিন মোল্লার। এই ভাবে বেশ কিছুদিন অর্থ, চাকুরী দেওয়ার ও তার শিশুকন্যাকে বিনা বেতনে পড়ালেখার সুযোগসহ বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে বাদিনীর স্বামীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে ভিকটিমকে কু-প্রস্তাবসহ যৌন হয়রানি করতে থাকে লম্পট নাজিমুদ্দিন। বিষয়টি সইতে না পেরে বাদিনী তার স্বামীকে ঘটনাটি অবহিত করেন। স্বামী লোক লজ্জার ভয়ে গোপনে অভিযুক্ত নাজিমুদ্দিনকে এহেন কাজ হতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু নাজিমুদ্দিন প্রভাবশালী হওয়ায় ভিকটিমের স্বামীর কথা কর্ণপাত না করে তার যৌন লালসা মেটানোর জন্য আরো বেপরোয়া ও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। নিরুপায় হয়ে ভিকটিম তার শিশু কন্যাকে নাজিমুদ্দিনের প্রতিষ্ঠান হতে অন্যত্র ভর্তি করায়। অবশেষে দুঃচরিত্রবান লম্পট নাজিমুদ্দিন শান্ত না হয়ে গত ১১ অক্টোবর বিকেল ৩ টার সময় টিকটিমের বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে চুপিসারে বাদিনীর শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে লম্পট নাজিমুদ্দিন তার যৌন কামনা চরিতার্থ্য করার জন্য খাটে ঘুমানো অবস্থায় জোরপূর্বক ভাবে বাদিনীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বাদিনীর চিৎকারে নাজিমুদ্দিন কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন ১২ অক্টোবর সকাল ১০ টার সময় ভিকটিম মোহনপুর থানায় মামলা করতে গেলে লম্পট নাজিমুদ্দিন অর্থবান এবং প্রভাবশালী হওয়ায় বাদিনীকে কোর্ট মামলা করার পরামর্শ দেন এবং সেই মোতাবেক ১২ অক্টোবর ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ রাজশাহী কোর্টে মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে কোর্টে দায়েরকৃত মামলাটি গত ২৪ অক্টোবর সরজমিন তদন্ত কূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মোহনপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন আদালত।
এ বিষয়ে মোহনপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহবুবা সুলতানা বলেন, মামলাটি সরজমিন তদন্ত করার জন্য আদালত দায়িত্ব দিয়েছেন এবং আগামী ১৭ নভেম্বব আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলা হয়েছে। মামলা তদন্তের কাজে আরো কিছু সময় বাড়ানোর জন্য আমি আদালতে আবেদন করবো,
এবিষয়ে অভিযুক্ত শতফুল বাংলাদেশ এনজিও পরিচালক নাজিমুদ্দিনের সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তার ষ্টাফ আবু সাইদ জানায় স্যারসহ আমরা বর্তমানে ঢাকায় প্রধান মন্ত্রির একটি প্রোগ্রামে রয়েছি, তাই এবিষয়ে মোহনপুরে ফিরে কথা বলব।