ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


ছুরির পাশে পড়ে আছে নুপুর, নেই শুধু কিশোরী


১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:৩৫

ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তের ছিটে পড়েছে রক্তের দাগ। রক্তমাখা দুটি ছুরি পড়ে আছে, পড়ে আছে নুপুরটাও সাথে দুই টুকরো মাংসও। নেই শুধু ৯ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী মরিয়ম।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় খানাবাদ কলেজের কাছে একটি বাড়িতে মরিয়ম (১৫) নামে এক ছাত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। ওই ছাত্রীর ঘরে রক্তমাখা ২টি ছুরি ও তার পায়ের নুপুর পাওয়া গেলেও তার হদিস বের করতে পারছে না কেউ।

এমন রোমহর্ষক ও রহস্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে।

মহিপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে মৃত বাবুল মল্লিকের স্ত্রী নুরজাহান (৪০) তার দুই সন্তান হামিম (৩) ও মহিপুর হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মেয়ে মরিয়মকে (১৫) নিয়ে ঘুমাতে যান। ঘরের দোতলায় নুরজাহানের বড় মেয়ে রেশমা (১৯) তার স্বামী মাঈনুল ইসলামকে নিয়ে ঘুমিয়েছিল।

রাত ২টার দিকে রেশমার সঙ্গে মরিয়মের কথা হলেও ভোর থেকে দিকে মরিয়মের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত দেখে চিৎকার শুরু করেন মা নুরজাহান বেগম। এ সময় ঘরের সবার ঘুম ভাঙে।

খবর পেয়ে মহিপুর থানা পুলিশ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান জানায়, রক্ত মাখা ২টি ছুরি ও মরিয়মের ব্যবহৃত পায়ের নুপুর এবং দুই টুকরো মাংস ঘরের মেঝেতে পাওয়া গেছে। কিন্তু জীবিত বা মৃত কোনোভাবেই মেয়েটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্ত ছিটে গেলেও পরিবারের কেউ টের না পাওয়ার বিষয়টিও রহস্যজনক। তবে রক্ত দেখে মনে হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

এসএমএন


পটুয়াখালী করেসপন্ডেন্ট