শাপলার গর্ভপাতের কারণ ছাত্রনেতার পা

বগুড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান দারুনের লাথিতে শাপলা বেগম নামে এক গৃহবধূর গর্ভপাত হয়েছে।
রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটার পরে রাতে গুরুতর অসুস্থ ওই গৃহবধূকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানী সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাপলা বেগম (২৮) তিন মাস আগে স্থানীয় অগ্রগতি বহুমুখী সমিতি থেকে ১০ হাজার টাকা লোন নেন।
এরপর তিনি আসল ও সুদ মিলে মোট ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরে এই সমিতি থেকে সুদ হিসেবে আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারায় রোববার রাতে পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানসহ সমিতির লোকজন শাপলা বেগমের বাড়িতে গিয়ে তার বাড়ির আসবাবপত্র বের করে নিয়ে আসেন। তিনি এতে বাধা দিলে ছাত্রদল নেতা দারুন তার পেটে লাথি মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই শাপলা বেগমের গর্ভপাত হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ১০নং বেডে শাপলা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাফুয়া জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শাপলা বেগম পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার গর্ভপাত হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বগুড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান দারুনের সঙ্গে যোাগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান জানান, ঘটনার পর গৃহবধূর শাশুড়ি বাদী হয়ে ছাত্রদল নেতা রবিউল হাসান দারুনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই বলেন, আসামি রবিউল হাসান দারুন গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশি অভিযান চলছে। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
আরআইএস