ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আটক হল শিক্ষক


১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:২৯

নতুন সময়

ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আটক শিক্ষক হাফেজ মো. আলা উদ্দিনকে (২৭) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে সদর থানা পুলিশ ।জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নে একটি হাফিজিয়া মাদরাসার ১২ বছরের ছাএ। আজ রবিবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। একই দিনে পুলিশ জামালপুর সদর হাসপাতালে ওই শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষাও করিয়েছে।

সদরের শরিফপুর ইউনিয়নের ডেঙ্গারগড় গ্রামের মোজাদ্দেদিয়া আশরাফুল উলুম হাফিজিয়া নূরানি মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. আলা উদ্দিনের কক্ষে গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ বলাৎকারের ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার রাতে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই শিক্ষককে আটক করে সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

যৌন নির্যতানের শিকার শিশুটির বাবার অভিযোগ, তাদের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের ডেঙ্গারগড় গ্রামে। তার ১২ বছর বয়সের ছেলেটি স্থানীয় মোজাদ্দেদিয়া আশরাফুল উলুম হাফিজিয়া নূরানি মাদরাসার কোরআনে হাফেজ পড়াশোনা করে প্রায় পাঁচ বছর ধরে। সে ইতিমধ্যে কোরআনের ২৫ পারা পর্যন্ত সুরা মুখস্থ করেছে। জেলার ইসলামপুর উপজেলার পচাবহলা গ্রামের মধ্যপাড়া গ্রামের মো. তারা মণ্ডলের ছেলে হাফেজ মো. আলা উদ্দিন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই মাদরাসায় নতুন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই ছাত্র বাড়ি থেকে টিফিন ক্যারিয়ারে করে শিক্ষক আলাউদ্দিনের জন্য সকালের খাবার নিয়ে মাদরাসায় যায়।

এ সময় শিক্ষক মাদরাসার তিন নম্বর কক্ষে বসে খাবার খান। খাওয়ার পর টিফিন ক্যারিয়ারের বাটিগুলো ওই ছাত্রকে ধুয়ে আনতে বলেন। সে বাটিগুলো ধুয়ে পুনরায় শিক্ষকের কক্ষে যায়। শিক্ষক তাকে দিয়ে কক্ষের জানালা বন্ধ করায়। এরপর ওই শিক্ষক প্রথমে শিশুটির সাথে অশ্লীল আচরণ করেন এবং পরে পায়জামা খুলে জোরপূর্বক তাকে বলাৎকার করেন। শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে ওই শিক্ষক বলাৎকারের ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

শিশুটি বাড়িতে ফিরে গেলে তার মন খারাপ দেখে তার বাবা কি হয়েছে বলে জানতে চাইলে ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। এক পর্যায়ে শিশুটি তার বাবার কাছে ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনা জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা গতকাল শনিবার বিকেলে শিক্ষক আলা উদ্দিনকে ওই মাদরাসায় আটক করে সদর থানায় খবর দেন। পরে সদর থানা পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় যৌন নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিক্ষক আলা উদ্দিনকে আসামি করে গতকাল শনিবার রাতেই জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন,শিশুটির বাবার দায়ের করা মামলায় আটক ওই মাদরাসার শিক্ষক আলা উদ্দিনকে রবিবার দুপুরে জামালপুর সদর আমলি আদালতের বিচারকের আদেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। যৌন নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।