ঢাকা শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


খাগড়ছড়িতে বন্যায় বেড়েছে ভোগান্তি


১৭ জুলাই ২০১৯ ২০:১১

ছবি সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিপাত আর ভারী বর্ষণের বন্যার পানি কমলেও যেন রেহাই নেই বন্যা দুর্গতদের। চেঙ্গী,মাঈনী ও ফেনী নদীর পানি কমে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙ্গন ও ধস। ইতোমধ্যে চেঙ্গী নদীর পারবর্তী,গঞ্জপাড়া,বটতলীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গছে নদীর পাড়। বিলীন হচ্ছে স্থানীয়দের একমাত্র অবলম্বন ফসলি জমি। এখনো স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন। গ্রামীণ সড়কে ভোগান্তি আর ভাঙ্গনে এলোমেলো ঘর গোছাতে ব্যস্ত ভারী বর্ষণের প্লাবিত এলাকার মানুষগুলো।

জেলা শহরের মধুপুর বাজারে ৯টি দোকানসহ চলাচলের গ্রামীণ যোগাযোগ ভেঙ্গে পড়েছে। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কের পাশ্ববর্তী মহাসড়কের পাশে ভাঙ্গন সড়কে ভাঙ্গনের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে হুমকিতে। তবে এ সকল স্থানে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা যায়।

কয়েকদিনে দিঘীনালার মাঈনী, রামগড়ের ফেনী,পানছড়ি ও খাগড়ছড়ির চেঙ্গী নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে জেলাজুড়ে উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে নির্মিত বীজতলায় রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে পানছড়ি উপজেলার দুধুকছড়া ফুট ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে,নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে উপজেলার চেংগী ইউপি কার্যালয়। পানছড়িতে প্রায় ১১টি বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও হুমকিতে রয়েছে স্কুল,মাদরাসা,অফিস,বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।

মাঈনী নদীর ভাঙ্গনে দিঘীনালার চোংড়াছড়ি ,মেরুং,বোয়ালখালীর হাসিনশরপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পাহাড়ের বিভিন্ন ছোট-বড় ছড়া ও খালের ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী ভয়াবহ এ ভাঙ্গন ও ধস নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে যথযথা ব্যবস্থা।