ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


আ’লীগে ফারুক বিরোধী ৭ জন বিএনপিতে এগিয়ে আমিনুল


১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:০৭

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা।

এমপি প্রার্থী ঘোষনার দিন যত ঘনিয়ে আসছে জনমনে বাড়ছে ততই জল্পনা-কল্পনা,কে পাবে কোন দলের টিকিট?

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে এমপি মনোনয়োনের দৌড়ে আ’লীগে রয়েছে আট জন,বিএনপিতে তিন,জাতীয় পার্টিতে এক এবং জামায়াতে একজন প্রার্থী।

রাজশাহী-১ আসনের বর্তমান এমপি শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং জাতীয় নেতা শহীদ কামরুজ্জামানের ভাগ্নে ওমর ফারুক চৌধুরী তানো -গোদাগাড়ীর বিভিন্ন প্রান্তে ফেস্টুনে ছড়িয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসুচিতে অংশ গ্রহন করছেন। ।

তিনি একবার শিল্প প্রতিমুন্ত্রী হয়েছেন এবং তিনি রাজশাহী জেলা আ’লীগের বর্তমান সভাপতি। তার সময়ে তানোর -গোদাগাড়ীর বেশ কিছু স্কুল-কলেজের চারতলা বিমিষ্ট্য অত্যাধুনিক ভবন নির্মান হয়েছে।

এদিকে তানোর -গোদাগাড়ীর আ’লীগের সাতজন প্রার্থী ফারুক বিরোধী হয়ে মাঠে নেমেছেন।এরা হল সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, তানোর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও মুন্ডমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানি,গোদাগাড়ী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতাউর রহমান,জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ তাজবুল ইসলাম,জেলা আ’লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট মকবুল খা ও বদরুদ্দোজা রবু মিয়া,জেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদকও গোদাগাড়ী পৌর মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু এবং জেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি এ্যাড.আ.ওয়াহাব জেমস। তাদের সবার দাবী ফারুক ছাড়া অন্য যে কাউকে রাজশাহী -১ আসনে আ’লীগের এমপি প্রার্থী করা হোক । এদের মধ্যে অন্যতম হল সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান। তিনি রাজশাহী জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানও তানোর-গোদাগাড়ীতে আ’লীর রাজনৈতিক কর্মসুচিতে অংশ গ্রহন করছেন।

এবং গোদাগাড়ীতে গত ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের এক রাজনৈতিক কর্মসুচিতে অংশ গ্রহন করে ফেরার পথে বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের গাড়ীতে ওমর ফারুকের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তারপরেও তিনি নির্বাচনী এলাকায় ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচারনা চালাচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর নতুন সময়কে বলেন,সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনিই এই আসনে আ’লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনিত হবেন। কারন তিনি ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গনের বীর। আবার তানোর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও মুন্ডমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানি দীর্ঘদিন যাবৎ প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং তানোরে তার জনপ্রিয়তা মুটামুটি ভালো।সেই সাথে নির্বাচনী এলাকায় রাব্বনিরও বেশ কিছু ফেস্টুন লক্ষ্য করা যায়। আর বাকীদের উপজেলা পর্যায়ে অল্প কিছু ফেস্টন দেখা যায়।

অন্যদিকে এই আসনে বিএনপিতে এমপি প্রার্থী মনোনয়নে রয়েছে তিনজন প্রার্থী। এদের মধ্যে তিন বারের এমপি এবং দু’বারের মুন্ত্রী ও বিএনপির সহসভাপতি ব্যারিস্টার আমিনুল হক, যুক্তরাষ্ট ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক প্রভাষক শাহাদাৎ হোসেন শাহীন এবং রাজশাহী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাজেদুর রহমান মার্কনী। শাহাদাৎ হোসেন শাহীনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন তার পিতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ব্যারিস্টার আনিমুল প্রার্থী হতে না পারায় তার সহদর সাবেক আইজিপি এনামুল হক বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন। সেবার বিএনপি’র এই প্রার্থী আ’লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়। তাই বিএনপি আবার এই আসনটি পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যারিস্টার আমিনুলকেই এগিয়ে রেখেছে।তবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি প্রচার- প্রচারনায় পিছিয়ে আছে। আবার জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম এই আসনে এমপি প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে নামবে বলে জানা গেছে । যদিও জাতীয় পার্টির মাঠ পর্যায়ে এ পর্যন্ত তেমন কোন প্রচার প্রচারনা লক্ষ করা যায় নি।এছাড়া জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমানের সামান্য কিছু ফেস্টুন লক্ষ্য করা যায়।এবং জামায়াতের কর্মীরা মজিবুরের ছবি সংবলিত ক্যালেন্ডার বিলি করেছেন বলে জানা যায়।

আরআইএস