পরিবার দাফন করলেও আটক করেছে পুলিশ!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় মো. আসাদুল্লাহ (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে কয়েকদিন আগে তার পরিবারের লোকেরা দাফন করেন। তবে, শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে তাকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে জীবিত আটক করেছে পুলিশ।
আসাদকে আটকের পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আসাদ সরাইলের অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল গ্রামের আলী আকবরের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অরুয়াইল গ্রামে একটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ধামাউরা গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে সফিক মিয়ার বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে সফিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলাও করে আসাদ। তবে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আসাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিতে থাকেন সফিক।
এ নিয়ে গত ৫ আগস্ট সফিকের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন আসাদ। এরপর ৯ আগস্ট নিখোঁজ হন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে গত ৬ সেপ্টেম্বর সরাইল উপজেলার চুন্টা গ্রামের একটি বিল থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিখোঁজ আসাদের শারীরিক গঠনের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া লাশের মিল থাকায় আসাদ হিসেবেই ওই লাশটি দাফন হয়। এ ঘটনার পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর আসাদের মেয়ে মোমেনা বেগম বাদী হয়ে সফিক মিয়াকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় হত্যা মামলা করেন।
সরাইল সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, উদ্ধার লাশ দেখে আসাদের পরিবার শনাক্ত করে যে এটি তারই লাশ। লাশের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল।
তিনি আরো জানান, সন্দেহজনক ঘুরাফেরার সময় সোনারগাঁ পুলিশ আসাদকে আটক করে। শনিবার জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তাকে আদালতে হাজির করা হবে। জবানবন্দি গ্রহণের পর নিখোঁজ হওয়ার রহস্য জানা যাবে।
এমআর