ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মীরের ৪ সেক্টরে পাক রেঞ্জার্সের ভারী গোলাবর্ষণ


২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:২৪

কাশ্মীরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের নওশেরা ও আখনুর সেক্টরে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে গোলা বর্ষণ করেছে পাক রেঞ্জার্স। এছাড়া মঙ্গলবার সকালের দিকে রাজৌরি ও পুঞ্চ সীমান্তেও ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী এই বাহিনী।

ইন্ডিয়া ট্যুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জম্মু-কাশ্মীরে অন্তত চারবার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে ভারী গোলা বর্ষণ করেছে পাক রেঞ্জার্স। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নওশেরা ও আখনুর সীমান্তে গোলা বর্ষণ করেছে। এছাড়া কানাচক ও শাম্বা সীমান্তেও গুলি ছুড়েছে পাকিস্তান সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) কমপক্ষে ৪৬ সদস্য নিহত হয়েছেন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। এরপর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এর মাঝেই মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে ১২টি মিরাজ-২০০০ জঙ্গিবিমান নিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জয়েশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় অভিযান চালায় ভারতীয় নৌ-বাহিনী। বিমান থেকে ১ হাজার কেজি বোমা বর্ষণ করে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের বেশ কিছু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি।

এ নিয়ে দুই দেশের মাঝে যুদ্ধংদেহী অবস্থা বিরাজ করছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে জরি এক বৈঠকের পর সেনাবাহিনী ও দেশের সাধারণ মানুষকে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদি, পাক-কাশ্মীরে অভিযানের ব্যাপারে ১২টি দেশের প্রতিনিধিকে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সচিব বিজয় গোখলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্কসহ আসিয়ানের সদস্য ছয় দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন।

বৈঠকে ভারতীয় বিমান বাহিনী সীমান্ত রেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে প্রতিনিধিদের অবহিত করেন তিনি।

ভারত বলছে, কাশ্মীরে ভারতীয় অভিযানে জয়েশের প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক ইউসুফ আজহার-সহ অন্তত ৩০০ জঙ্গি মারা গেছে। তবে হামলায় কোনো ধরনের হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তারা বলছে, পাকিস্তানের যথাযথ জবাবে পালিয়ে গেছে ভারতীয় বিমান।

প্রাণহানির যে দাবি করেছে ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বলছে, ভারত যে স্থানে হামলা করেছে বলে দাবি করেছে, সেই স্থানে বিশ্বকে দেখে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কমিটি বলছে, ‘ভারতের ভুয়া দাবি দেখার জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ঘটনাস্থলে নেয়া হয়েছে।’

 

নতুনসময়/আইকে