ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


নেইমারের ফোনকলই ধরেনি বার্সেলোনা!


১৮ জানুয়ারী ২০১৯ ১১:৫৫

২০১৭ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়ে নেইমার ভুল করেছেন কি না, তা বিরাট গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলে। তবে খালি চোখে যেটা দেখা যায়, সেটা হচ্ছে- নেইমার ভুল করেছিলেন। সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতেই এখন নেইমার আবার ফিরে আসতে চান তার পুরনো ক্লাব বার্সেলোনায়।

কিছুদিন আগেই সংবাদ বের হয়েছিল, নেইমার তার ক্লাব কর্তৃপক্ষকে রাজি করাতে সক্ষম হয়েছেন যে, মৌসুম শেষে তাকে কেনা দামেই ছেড়ে দেবে পিএসজি। খবরটির সত্যতা অনেকভাবেই প্রমাণিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নেইমার বার্সেলোনায় যাবেন নাকি রিয়াল মাদ্রিদে যাবেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্নের বিষয়।

কিন্তু এখনও পর্যন্ত বার্সা এবং রিয়াল- দুই ক্লাবই রয়েছে সিদ্ধান্তহীনতায়। জানা যাচ্ছে, রিয়াল মাদ্রিদ খুব আগ্রহী। বার্সেলোনাও হাল ছাড়তে রাজি নয়। কিন্তু মাঝে-মধ্যেই ভিন্ন খবর বের হয় মিডিয়ায়।

এই যেমন, হঠাৎ করেই প্রকাশ হলো, নেইমারের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বার্সেলোনা। ইউরোপিয়ান মিডিয়াগুলোর দাবি, নেইমারের ব্যাপারে বার্সেলোনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন তার বাবা এবং এজেন্ট সিনিয়র নেইমার। কিন্তু খবর হচ্ছে, এ ব্যাপারে এখন সিনিয়র নেইমারের ফোনকল পর্যন্ত ধরছেন না বার্সেলোনা ক্লাব প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তেম্যু কিংবা অন্য কর্মকর্তারা। অভিযোগটি করেছেন খোদ নেইমারের বাবা।

কিছুদিন আগে নেইমারের পুনরায় দলে নেয়ার পক্ষেই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন বার্সার সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সে হিসেবে নেইমারের বাবা সম্ভাব্য চুক্তির বিষয় নিয়ে বার্সার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

কিন্তু এসব খবর কিংবা গুজবের আশপাশ দিয়েও যাচ্ছেন না বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে। বরং, বার্সার মুখপাত্র হোসে ভিভাস মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘নেইমারের বাবার (সিনিয়র নেইমার) পক্ষ থেকে বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যুকে কোনো ফোনকলই দেয়া হয়নি।’

ভিভাস বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, নেইমারের ব্যাপারটা এখন কোনো আলোচনার বিষয়ই না। সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলে গেছে। এরপর থেকে এ নিয়ে আমরা আর কোনো কথা বলতে চাই না। যে খেলোয়াড় অন্য কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, আমরা তার সম্পর্কে কোনো কিছু বলতে চাই না। যখন সে বার্সা ছেড়েছিল, তখন এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্পূর্ণ এখতিয়ার ছিল তার।’