ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


শোকগাঁথা আগস্টের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়: আতাউর রহমান ভূইয়া


৩১ আগস্ট ২০১৮ ১৫:০৭

এই জনপদের সূচনালগ্ন থেকে অসংখ্য গুণী ব্যাক্তিত্ব এবং মহাপুরুষের জন্ম হয়েছে। সে সকল ব্যাক্তিরা বিভিন্ন অঙ্গনে অসাধারণ অবদান, মর্মগাঁথা আত্নত্যাগ এবং সফলতার জন্য আজ মানুষের মাঝে বেঁচে আছেন। তাদের সবার অবদান ও কৃতীত্বের সীমারেখা আছে।

তবে একজন  পুরুষের বীরত্বগাঁথা টগবগে ইতিহাস কল্পনাতেও সম্ভাব নয়। তিনি সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

বঙ্গবন্ধু বংলা ও বাঙ্গালির নতুন দিনের স্বপ্ন দেখার রুপকার, যুদ্ধ জয়ের নায়ক, স্বাধীনতার স্থাপতি। রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে আনা স্বাধীন বাংলার পূর্ব আকাশে জেগে ওঠা টগবগে লাল সূর্য।

একটি মুদ্রার এক পিঠ যদি হয় বাংলাদেশ তাহলে অন্য পিঠ বঙ্গবন্ধু। মুজিব মানেই স্বাধীনতা, মুজিব মানেই বাংলাদেশ। এক কথায় স্বাধীনতার আরেক নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এই বাংলাদেশ হতো না। পেতাম না স্বাধীনতার স্বাদ। পরাধীনতার শিকল বাঙ্গালিকে ঔ দূর প্রান্তের অত্যাচারী পাকিস্তানের সাথে নিয়তি হয়ে বেধে রাখতো।

দূর্ভাগা বাঙ্গালির মেঘাচ্ছন্ন ভাগ্যাকাশে মুক্তির আলো হয়ে জ্বলে উঠেছিল বঙ্গবন্ধু। ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল সূর্য। দীর্ঘ ২৪ বছরের পরাধীনতার শিকল কেটে নির্মম জুলুম, অত্যাচার আর অমানবিক বৈষম্য থেকে বাঙ্গালিকে মুক্ত করেছিল এই মহান নেতা। এই স্বাধীন ভূখন্ডের বাংলাদেশ নাম রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাই বঙ্গবন্ধুর নামের সাথে একটি কথাই যেতে পারে যে, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক, একই অর্থ বহণ করে।

১৯৭৫ সালের যে রাতে বিশ্ব নন্দীত বঙ্গালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, সেই ১৫ আগস্টের কালো রাতে শুধু বঙ্গবন্ধু ও মুজিব পরিবার নয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশ যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীন হয়েছিল সে সকল কিছু হত্যা করা হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কারণে বাংলা ও বাঙ্গালির অসামান্য অপূরনীয় ক্ষতি ও শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। শোকগাঁথা আগস্টের এই শূন্যতা কোনো কালেই পূরণ হবে না। জাতির জনককে হত্যার দায় অনন্তকাল আমাদের বইতে হবে।