ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


বিআরটিএ’র কিছু অসাধু কর্মকর্তাও জড়িত গাড়ি চোর সিন্ডিকেটে


২২ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৬

চলতি বছরের গত জুন মাসে রাজশাহী থেকে একটি ট্রাক চুরি হয়েছিল। সেটি খুঁজতে গিয়ে একে একে উদ্ধার হয় ১৪টি ট্রাক। উদ্ধার হয় একটি প্রাইভেটকারও। গ্রেপ্তার হন সাতজন। এসব গাড়ি উদ্ধার ও প্রেপ্তারকৃতদের সূত্র ধরে পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে যায়। এসময় আরও একটি চোরাই প্রাইভেটকার উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও পাঁচজন। পুলিশ বলছে, এটিই দেশের সবচেয়ে বড় গাড়ি চোর চক্র।

গত পাঁচ মাস ধরে এই গাড়ি চোর চক্রের পেছনে লেগে আছে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সর্বশেষ টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গা ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে ঢাকা মেট্রো-গ-৩৭-৮৩৯১ নম্বরের প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করা হয়েছে শনিবার। গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৪টি ট্রাক ও দুটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হলো। আর মোট গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা ১১ জন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভোলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ কলাকোপা গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে মো. মামুন (২৩), চাঁদপুরের মতলবের নাওজান গ্রামের আলমাস মিয়ার ছেলে মো. টিটু (২৮), পিরোজপুরের কাউখালির মেঘপাল গ্রামের আবদুল কাশেম আকন্দের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০), বগুড়ার ধুনটের শেহুলিয়াবাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৩) ও ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার চরডাঙ্গা গ্রামের মো. টিটুর স্ত্রী শারমিন ওরফে রাণী (১৯)। তারা সবাই গাড়ি চোর চক্রের সদস্য। থাকতেন ঢাকার সাভারে। গ্রেপ্তারের পর গতকাল রোববার দুপুরে কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ। তিনি জানান, গত ৬ জুন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা থেকে একটি ট্রাক চুরি হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি পুলিশ। তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক এসব গাড়ি উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন চোর চক্রের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি জানান, উদ্ধার হওয়া ট্রাকগুলোর প্রায় সবই অশোক লেল্যান্ড কোম্পানীর। এই কোম্পানীর ট্রাকের চেসিস নম্বর প্লে­ট পরিবর্তন করা সহজ হওয়ায় তারা এগুলোকেই টার্গেট করে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তাদের ৫২৯টি ট্রাক চুরি হয়েছে। তবে সিন্ডিকেটের মূলহোতা মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ প্রায় ৮০টি প্রাক চুরির তথ্য পেয়েছে। এগুলোরও বেশিরভাগ অশোক লেল্যান্ডের। এসব ট্রাক উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এসপি আরো বলেন, এটিই দেশের সবচেয়ে বড় গাড়ি চোর চক্র। এদের সঙ্গে বিআরটিএ’র অসাধু কিছু কর্মকর্তাও জড়িত আছেন। তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া মাত্র তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান।

এমএ