ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

লালদীঘির ইতিহাস দ্বিতীয় পর্ব


৩১ আগস্ট ২০১৮ ২২:৫৩

লালদিঘির পশ্চিম পাড়েই “রিকেট ঘাটের” অবস্থান ছিল। চট্টগ্রামের জমিদারেরা ১৯৪১ হতে ১৯৪৮ পর্যন্ত চট্টগ্রামের কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করা স্যার হেনরী রিকেটস এর স্মরণে ‘রিকেট ঘাট’ নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৩১-১৮৩৯ সাল পর্যন্ত মিঃ হার্ভে চট্টগ্রামের কালেক্টর ছিলেন। ৩২ ডেপুটি কালেক্টর ও কয়েকজন জরিপ আমিন নিয়ে জরিপের কাজ শুরু করেন মিঃ হার্ভে। জরিপে ২০ গন্ডার স্থানে ১৮ গন্ডায় কানি হিসাব করায় তার উপর সবাই খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিল। ফলে আনোয়ারা থানায় লোকজন তাকে আক্রমণ করেছিলেন। তার উপর আক্রমণের সময় সৈন্যদের গুলী করার নির্দেশ তিনি।

এরকম সংবাদ পেয়ে কতৃর্পক্ষ মিঃ রিকেটকে প্রেরণ করে। ১২০০ মঘীর জরিপের সময় চট্টগ্রাম বাসীর উপকার করেন তিনি। এ কারনে সকলের শ্রদ্ধাভাজন হয়েছিলেন মিঃ রিকেট। ঊনবিংশ শতকে চট্টগ্রামের সেশন জজ টোডেল সাহেবের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর শবদেহ রিকেট ঘাটের উত্তর দিকে দাহ করা হয়। পরবর্তীকালে তার স্মৃতিতে নির্মাণ করা স্তম্ভটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।

সেকালে মিউনিসিপাল ময়দান নামে পরিচিত ছিল মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের পাহাড়ের পাদদেশ থেকে পুরো পশ্চিমে পরীর পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত। এই ময়দানে ১৮৮৭ সালে মহারানী ভিক্টোরিয়ার মূর্তি স্থাপন করা হয়। তার এই মূর্তি অপসারণ করা হয় চল্লিশের দশকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে উত্তর-দক্ষিণ রাস্তাটি হবার পর মিউনিসিপাল ময়দান দুইভাগে বিভক্ত হয়। প্রথমে পূর্বদিক সাধারণ জনগণের খেলার মাঠে রূপান্তরিত হয়। মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মাঠটি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে পরিণত হয়। এই মাঠই বর্তমানে লালদিঘির মাঠ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। (চলবে)