ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

লালদীঘির ইতিহাস


৩১ আগস্ট ২০১৮ ২২:৪০

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন সমূহের অন্যতম লালদীঘি। এর অবস্থান নগরীর জেল রোডের শেষ সীমানায়। এর পাশেই আন্দরকিল্লা। লালদিঘীর আশেপাশেই জেলা পরিষদ ভবন এবং স্থানীয় ব্যাঙ্কের শাখাসমূহ অবস্থিত। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নং ওয়ার্ডে এর অবস্থান।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চট্টগ্রামের শাসনভার লাভ করে ১৭৬১ সালে। সেই সময় এন্তেকালী কাছারি অর্থাৎ জমি সংক্রান্ত তহসিল অফিসে লাল রঙ দেয়া হয়েছিল। যা বর্তমানে মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই লোকজনের মুখে এটি “লালকুঠি” নামে পরিচিতি লাভ করে। লাল কুঠির পূবদিকে ছিল জেলখানা। জেলখানাও লাল রঙ করায় এটি “লালঘর” নামে পরিচিতি লাভ করে। কথিত আছে লাল পাগড়ী পরিহিত ব্রিটিশ পাহাড়াদারেরা এই ভবন দুটো পাহাড়া দিত।

মানুষের ধারনা এ কারণেই ভবনগুলোর নাম লাল ঘর এবং লাল কুঠি। ছোট একটা পুকুর ছিলো লাল ঘর এবং লাল কুঠির পাশেই। চট্টগ্রামে ইংরেজ শাসনের সূচনালগ্নে পুকুরটি কেঁটে বড় করলে দিঘিতে রূপ নেয়। আর দিঘীর পাশে লাল রঙের দুটো ভবন থাকায় দিঘিটা লোকমুখে লালদিঘি নামে পরিচিত পায়।

লালদীঘির উত্তর পাশে একটি মঠ রয়েছে। মঠটির গায়ে লেখা আছে রায় বাহাদুর রাজকমল ঘোষের নাম ও গম্বুজে ১৯৩৯ সাল। ইতিহাস থেকে জানা যায়, রাউজান উপজেলার চিকদাইর গ্রামে জন্ম নেওয়া রায় বাহাদুর ছিলেন একজন জমিদার। খোলামেলা লালদিঘির পাড়ে তিনি অবসর সময় কাটাতেন। লালদিঘির অভিভাবকও ছিলেন তিনি। তিনি পরবর্তিতে দিঘিটির মালিকানা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাছে ন্যস্ত করেন। (চলবে)