ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


জঙ্গি দমনে সফলতার দিকে বাংলাদেশ


২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:০২

ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনেক ব্যবস্থা নেয়ার পরেও বাংলাদেশে এখনো জঙ্গি হামলার ঝুঁকি রয়েছে।

২০১৭ সালের মার্চে ৩টি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়ার পর দেশটির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সেই সাথে অসংখ্য সন্ত্রাসী হামলার নকশা নস্যাৎ করেছে। জঙ্গী -সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার 'জিরো টলারেন্স' নীতি গ্রহণ করেছে। যা প্রশংসার দাবী রাখে বলে জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিবেদনে গত বছরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়। মার্কিন কংগ্রেসে উপস্থাপিত বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার সকল সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এসব হামলার জন্য স্থানীয় জঙ্গিরা দায়ী ।
ভারতীয় উপমহাদেশের ‘আল-কায়েদা’ ও ‘আইসিস’ কমপক্ষে ৪০টি ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। এমনকি ‘আইসিস’ ও একিউআইসেরে প্রকাশনা, ভিডিও ও ওয়েবসাইটে বাংলাদেশি জঙ্গিদের এসব কর্মকাণ্ড প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে ২০১৭ সালের মার্চে ৩টি জঙ্গি হামলার বিবরণ দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো ঢাকায় আশুলিয়াতে র‍্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প ও পুলিশ চেকপোস্টে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার চেষ্টা, এবং সিলেটের আতিয়া মহলের দুইটি বোমার বিস্ফোরণ। আতিয়া মহলকে আইসিসের ঘাঁটি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সন্ত্রাস বিরোধী আইনটি পুরোপুরি প্রয়োগ করছে দেশটির ফৌজদারি বিচার বিভাগ। যদিও বিদেশি সন্ত্রাসীদের বিচারে দেশটিতে পর্যাপ্ত আইন না থাকায় অপরাধীদের প্রচলিত অন্য আইনে বিচার করা হচ্ছে।

সীমান্ত ও বিদেশে যাতায়াতের পয়েন্টে বাংলাদেশের কঠোর নজরদারির প্রশংসা করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ইন্টারপোলের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান করলেও দেশটি জঙ্গিদের তালিকা তৈরি করেনি।

এসএমএন