ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


নাম ফাটাতেই সানি লিওন হলেন নায়লা


১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০২

বাংলাদেশের সানি লিওন নামে পরিচিত নায়লা নাঈম। সম্প্রতি এ খোলামেলা মডেলকে নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম টাইমস্ অব ইন্ডিয়া। ভারতের বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল-‘বাংলাদেশের সানি লিওনের সাথে পরিচিত হও’।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে নায়লা নাঈমকে বাংলাদেশি সানি লিওন হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘নায়লা হচ্ছেন বাংলাদেশের সানি লিওন। নিজ দেশে তাকে সানি লিওন বলে ডাকা হয়।

এ বিষয়ে নায়লা নাঈম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমাকে সানি লিওনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে এটাতে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’

বলিউডের মত খোলামেলা নায়িকাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশি মডেলরাও বেশ সাহসী হয়ে উঠছে পোশাক পরিচ্ছেদ নির্বাচনে। এখানে মডেল পরিচয় দেয়াটাও এক ধরনের ভুল। পোষাক- পরিচ্ছদে তারা যেমন রাতারাতি আলোচিত হচ্ছেন। আবার এ নিয়ে কম সমালোচিতও হচ্ছেন না।

পেশায় দন্ত-চিকিৎসক হলেও তিনি পাঁচ বছর ধরে মডেলিং জগতের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বেশকিছু বিজ্ঞাপনচিত্র ও মিউজিক ভিডিওতেও দেখা গেছে। তন্ময় তানসেন পরিচালিত ‘রান আউট’ ছবির একটি আইটেম গানে অংশ নিয়েছেন নায়লা। এসব কিছুর পেছনেই তার খোলামেলা হওয়া। তার মত এতো খোলামেলা ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার সাহস অন্য মডেলদের হয়নি বললেই চলে। মডেলিং এ তার এই সাহসী উপস্থাপন একদিকে যেমন সমালোচনা কুড়িয়েছে, তেমনি বেড়েছে ফলোয়ারও।

কুরুচিপূর্ণ অশ্লীলতা দিয়ে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না সিনেমাজগতে। ঢাকাই সিনেমায় যেমনটা হয়েছে ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এ সময় অশ্লীল সিনেমার নায়িকা হিসেবে খ্যাত মুনমুন, ময়ূরী, পলি, ঝুমকাসহ আরও অনেকে। তাদের অস্তিত্ব মুছে গেছে ঢাকাই সিনেমা থেকে।

কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, বর্তমান প্রজন্মের কয়েকজন অভিনেত্রী দ্রুত নিজেকে টাইমলাইনে নিয়ে আসার জন্য বেশ খোলামেলা পোশাকে নিজেদের উপস্থাপন করছেন। তারা হয়তো জানে না যে, অশ্লীলতা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে একেবারেই বেমানান, এদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীরা কোনোদিনই অশ্লীলতাকে সমর্থন করেননি। হলিউড কিংবা বলিউডে অনেক কিছু সহজ। কারণ সেসব দেশের সংস্কৃতি তেমণ। কলকতায় নানা সময়ে খোলামেলা হতে দেখা গেছে পাওলি দামের মতো নায়িকাদের। কিন্তু এই খোলামেলা হওয়াটাই তাদের একমাত্র যোগ্যতা ছিল না। তারা ভালো অভিনেত্রীও। কিন্তু বাংলাদেশের এক শ্রেনীর মডেল ও নায়িকারা অশ্লীলতাকে পুঁজি করে ছড়িয়ে পড়ছে। তারা এটাই সংস্কৃতি তৈরী করতে চাচ্ছে বাংলাদেশে।

এমএ