ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


‘নাম বললে চাকরি থাকবে না’ রয়টার্সকে অভিযোগ


১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৪৬

ফাইল ফটো

কাতারে চরম অসহায়ত্বে আছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা। সম্প্রতি দেশটিতে শ্রমিকদের সুরক্ষায় শ্রম আইন সংস্কার করলেও বিভিন্ন হয়রানি থেকে মুক্তি মিলছে না। শত অন্যায় সত্ত্বেও দেশটিতে মালিকই ঠিক!

সম্প্রতি রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, অনেক সমস্যা আছে কিন্তু মালিকের নামে অভিযোগ করলে চাকরি থাকবে না। কোম্পানি চাকরিচ্যুত করে বাড়ি পাঠিয়ে দিবে। যদি আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়, তাহলে আমার পরিবারকে সাহায্য করার জন্য কেউ টাকা দেবে না।

কাতার ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার পর থেকে সেদেশে অভিবাসী শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়টি অনেকবারই খবরের শিরোনামে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে অব্যাহত চাপের মধ্যে গত বছর শ্রমিকদের সুরক্ষায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

এসব উদ্যোগের মধ্যে সাময়িকভাবে মাসিক ন্যূনতম বেতন ৭৫০ রিয়াল (২০০ ডলার) এবং অভিবাসী শ্রমিকদের সমস্যার সমাধানে একটি কমিটি করা হয়।

এদিকে, নতুন আইনে বিদেশি শ্রমিকদের দেশত্যাগের জন্য চাকরিদাতার অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হয়েছে। যে দাবি দীর্ঘ দিন ধরে করে আসছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলো। বিশ্বকাপ সামনে রেখে অভিবাসী শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধে কাতার সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন অধিকারকর্মীরা। শ্রম অধিকার বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইকুইডেম রিসার্চের প্রধান মুস্তফা কাদরি বলেন, এসব পদক্ষেপের বাস্তবায়নই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

‘শ্রমিক শোষণ ও হয়রানি বন্ধে জরুরি হচ্ছে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন এবং নিজেদের অধিকার সম্পর্কে শ্রমিকদের সচেতনতা তৈরি।’ দেশটির প্রায় ২০ লাখ বিদেশি শ্রমিকের অনেকেই মনে করেন না যে, হয়রানি থেকে তাদের রক্ষায় এসব পরিবর্তনই যথেষ্ট।

এসএ