ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


দুর্গাপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ


১৫ নভেম্বর ২০১৮ ২২:২৬

রাজশাহীর দুর্গাপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। পুরানতাহিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, জেলা প্রসাশক, শিক্ষাবোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পুরানতাহিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরন চলছিলো। শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের ফেল করাসহ প্রায় ১শ ২০জন। এসব পরীক্ষার্থী কাছে থেকে প্রধানশিক্ষক ইউসুফ সরদার কোন রশিদ ছাড়াই ফরমপূরণ বাবদ সরকারী বিধি নিষেধ অমান্য করে অতিরিক্ত ফি আদায় করেন। প্রধান শিক্ষকের গলাকাটা ফি থেকে রেহায় পাননি এলাকার প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের মেধাবী সন্তানও। তার কাছে থেকেও নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ১শ’ ৫০টাকা। নির্বাচনী পরীক্ষায় যে শিক্ষার্থী এক বা ততোধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে (মানবিক বিভাগ) তাদের থেকে ৩ হাজার ২শ’ ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা নেন প্রধানশিক্ষক। এমনকি বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীদের ফরমপূরণ বাবদ টাকার কোন রশিদও দেন নি প্রধানশিক্ষক। উল্টো যেসব শিক্ষার্থী টাকা আদায়ের রশিদ দাবি করলে প্রধানশিক্ষক তাদের প্রবেশপত্র আটকায়ে দেওয়াসহ নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

তবে, মানা হয় হয়নি মন্ত্রনালয় ও শিক্ষা বোডের নির্দেশ। ৩ মাসের বেতনসহ ফরম পূরনের ফি সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকার বেশি নেয়া যাবে না মর্মে মহামান্য হাইকোর্টের রায় থাকলেও ওই বিদ্যালয়ে ফরম পূরণ ফি ৩২-৩৫ শত টাকা নেয়া হয় কীভাবে এ উত্তর কারও জানা নেই। ফলে এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। তাদের মাঝে হতাশা কাজ করছে। অভিযোগ অস্বীকার করেন পুরানতাহিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ইউসুফ সরদার।

তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিত জেলা শিক্ষা বোর্ড তাকে তলফ করেছেন। তিনি বর্তমানে ওখানেই আছেন। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন। তিনি ফরম পূরণ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে কোন প্রকার বেশি টাকা নেননি বলে অভিযোগ অস্বীকার করেন।

পুরানতাহিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, আমার বাবা একজন প্রতিবন্ধী। মানুষের সাহায্য সহায়তা নিয়ে আমাদের সংসার চলে। এসএসসি ফরমপূরণ বাবদ প্রধানশিক্ষকের কাছে গেলে তিনি কিছুতেই টাকা কম নেয় নি। নানান অযুহাতে প্রধানশিক্ষক তার কাছে থেকে ৩ হাজার ১শ’ ৫০টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এমএ