ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ছাত্রী-শিক্ষকের অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস, তোলপাড়


১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৩১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়ে গেছে। একই বিভাগের এক ছাত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ওই ছবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষক এমন আপত্তিকর কর্মে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিয়ে না করায় বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে ছবিগুলো কে ফাঁস করেছে তা জানা যায়নি। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওই ছাত্রী ইবি ভিসির কাছে অভিযোগ করেছেন।

বিভাগ ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৮তম সিন্ডিকেটে পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ পান আব্দুল মুয়ীদ। যোগদানের পরে একই বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে সেটা শারিরীক সম্পর্কে গড়ায়।

একাধিকবার ওই ছাত্রী প্রজেক্টের কথা বলে আব্দুল মুয়ীদের কুষ্টিয়া হাউজিংয়ের ভাড়া বাড়িতে একান্তে দেখা করতে যান। সেখানেই তাদের শারিরীক সম্পর্ক হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি ওই শিক্ষকের পারিবারিকবাবে বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয় কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন ওই ছাত্রী। এ সময় তাদের অনৈতিক সম্পর্কের কথা জনসম্মুখে আসে।

এমনকি বিষয়টি মিমাংসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক ছাত্র ও কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক এক সাংবাদিকের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে ব্ল্যাকমেইল করে একলাখ টাকা নেয়ার অভিযোগও রয়েছে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে। তবে টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী।

এসব বিষয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মুয়ীদ বলেন, এ রকম কোনো বিষয় আমার নেই। আর বিষয়টি আমি জানি না।

পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি আলতাফ হোসেন রাসেল বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। আর এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি।

এদিকে গত বুধবার বিষয়টি উপাচার্যকে মুঠোফোনে অভিযোগ আকারে জানান ওই ছাত্রী।

বিষয়টি স্বীকার করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ফোনে একটি মেয়ে অভিযোগ করেছিল। আমি তাকে স্বশরীরে এসে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। কিন্তু সে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেআই